অনলাইন ডেস্ক:
দিল্লির রোহিনী আদালতের ভিতরে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ। নিহত কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগী। গুলিবৃষ্টিতে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কীভাবে কোর্টের ভিতর অস্ত্র নিয়ে ঢুকল আততায়ীরা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন আদালতের ২০৭ নম্বর কক্ষে শুনানি চলছিল। সেই সময় আচমকা একদল আততায়ী গুলি চালাতে শুরু করে। এর পর দুষ্কৃতীদের দু’টি দলের মধ্যে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। মৃত্যু হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগী। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দুই দুষ্কৃতীকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ, খুন-সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে নিহত গ্যাংস্টার জিতেন্দরের বিরুদ্ধে।
২০২০-এ মার্চ মাসে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। একটি মামলার শুনানির জন্য তাকে এদিন কোর্টে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের দাবি, আততায়ীরা আইনজীবীর পোশাকে এসেছিল। কোর্টে সওয়াল শুরু হতেই জিতেন্দরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা গুলি চালান আদালত কক্ষে মজুত পুলিশকর্মীরা। ঘটনার নেপথ্যে টিল্লু গ্যাং আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, জিতেন্দরের বিরোধী গ্যাংয়ের দু’জন আদালতের ভিতরে জিতেন্দর গোগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখনই পুলিশ পাল্টা জবাব দেয় এবং ওই দুই হামলাকারীকে হত্যা করে। পুলিশ দ্রুত কাজ করেছে।উভয় হামলাকারীকে হত্যা করেছে। গোগী সহ মোট তিনজন মারা গিয়েছেন। এই দুটি দলের মধ্যে বিরোধ বহুদিনের। তাদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৫ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছে।